বেশ যুগ যুগ ধরেই আমাদের ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে আসছি। তাই চুলের যত্নে অনেক ধরনের তেলের মধ্যে দিয়ে একটি তেলের কথা বলতেই হবে তা হল অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল এমন একটি তেল যা আমাদের দৈনন্দিন রান্না থেকে শুরু করে আমাদের হেয়ার এবং সেই সাথে স্কিন কেয়ারের ক্ষেত্রেও বেশ প্রচলিত। আপনি জানেন কি শুধুমাত্র এই তেল দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরানের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তাই চলুন জেনে আসি যে,আমাদের ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল কীভাবে কাজ করে থাকে।
আমাদের ত্বকের যত্নেশুষ্কতা থেকে শুরু করে আমাদের স্কিন ড্যামেজের মতন নানান ধরণের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের ব্যবহার।
আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ময়েশ্চারাইজার কিংবা ক্রিম ব্যবহার করার পরেও আমাদের ত্বকে বেশ ড্রাইনেস থাকে। তাই আপনি যদি স্কিন ক্যাফে অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে দীর্ঘ সময় অবধি আপনার স্কিন থাকবে বেশ সফট। আপনার স্কিনকে বেশ ডিপলি ময়েশ্চারাইজ করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অলিভ অয়েল কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ স্কিনে ব্যবহার করে নিন। আপনি তারপর ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিয়ে কোন ফেইস ওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে নিন।
একটি অলিভ অয়েলে বিদ্যমান রয়েছে আছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং ভিটামিন কে। এই সবগ ভিটামিনের কিন্তু আলাদা আলাদা কিছু ফাংশান আছে। একটি অলিভ অয়েলে সবচেয়ে বেশি কার্যকর উপাদান হল যে ভিটামিন ই, যা মূলত একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ফ্রি রেডিকেলসের কারনে আমাদের স্কিনে যে ড্যামেজ হয়ে থাকে তা কমানোর ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল আমাদের বেশ সাহায্য করে।
স্কিনকে উজ্জ্বলতা প্রদানের ক্ষেত্রে স্কিন ক্যাফের অরগানিক এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের উপাদান থাকে। একটি প্যাক বানানোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ১ টেবিল স্পুন অলিভ অয়েলের সাথে সাথে আপনি এক চিমটি হলুদের গুঁড়া সাথে ২ টেবিল স্পুন টকদই ভালোভাবে মিক্স করে আপনার ত্বক কিংবা গলায় লাগিয়ে নিতে পারেন।আপনি ১৫ মিনিট রেখে শুকিয়ে যাবার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি সপ্তাহে ১-২ বার এই ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
এই অয়েল ব্যবহার করার ফলে আমাদের এজিং প্রসেস মূলত বেশ ধীর গতির হয় হয় এবং আমাদের স্কিনের ফাইন লাইন্স, রিঙ্কেল এর প্রাদুর্ভাব বেশ অনেকটাই কমে আসবে। আপনার স্কিনের মধ্যে যদি কোন ধরণের রেডনেসের সমস্যা থেকে থাকে, তবে তাহলে অলিভ অয়েল ব্যবহারে কমে যায়। একটি স্মুথ স্কিন পেতে হলে আপনাকে ১ টেবিল অলিভ অয়েলের সাথে ১ টেবিল মধু এবং ডিমের কুসুম মিশিয়ে তা ফেইস এবং গলায় ব্যবহার করে নিন। পরবর্তীতে আপনি ১০ মিনিট পর তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ফলে ত্বকের মধ্যে আপনার কুঁচকানো ভাব অনেকটাই কমে আসবে। সেই সাথে আপনার স্কিন হয়ে উঠেব বেশ তারুণ্যদীপ্ত।
আমাদের মধ্যে অনেকের চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যা নেই এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। কারণ অলিভ অয়েলে বিদ্যমান আছে ওমেগা-৩ এসিড এবং অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস, যা আপনার চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। যা চুল পড়া কমিয়ে ফেলে।
এছাড়াও আমাদের চোখের চারপাশের ত্বকের যত্নের অলিভ অয়েল আমাদের ডার্ক সার্কেল নিয়ে বেশ চিন্তা করে তাদের ডার্ক সার্কেল কমাতে ভূমিকা পালন করে। অলিভ অয়েলে বিদ্যমান আছে ভিটামিন কে, যা আমাদের চোখের নিচের স্কিনটোনকে সেই সাথে রিংকেলের প্রবলেমও সমাধান করে।
SHOP AT SHAMPOBD
Skin Cafe Organic Extra Virgin Olive Oil
Rated 4.81 out of 5
23% OFF
৳ 850 ৳ 650
Add to Bag
প্রতিদিন গোসলের পরে আমাদের অলিভ অয়েল পুরো শরীরকে বেশ হালকা করে ব্যবহার করে নিলে আমাদের স্কিন হবে বেশ সফট ও গ্লোয়িং। সেই সাথে ত্বকের ড্রাইনেস কমবে। এছাড়াও বাচ্চাদের শরীরেও মধ্যে এই তেল ম্যাসাজ অয়েল হিসাবে এই তেল ব্যবহার করতে পারবেন।
অথেনটিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে আমার সবসময়ই ভরসা SHAMPOOBD । অনলাইনে আপনি ঘরে অর্ডার করে ফেলতে পারবেন পছন্দের পণ্য।
ওয়েবসাইট লিংকঃ
বাংলা
