চুল নারীর অলংকার,চুল নারীর সৌন্দর্য।
ঝলমলে খোলা চুল বাতাসের তালে উড়ে যাচ্ছে তেমনই কল্পনা থেকে থাকে প্রতিটি রমনীর মনে। কিন্তু হটাৎ করে কল্পনা ছেড়ে বাস্তববে ফিরে আসলে তীব্র ভয় কাজ করে । কারণ আমাদের বাস্তবে যে ধরণের চুল হউক না কেন জট পাকানোর ফলে আমাদের চুল উঠে। চুলে জট বাধা যেমন প্রতিটি রমনীর একটি প্রধান সমস্যা। ছোট চুল হউক কিংবা বড় চুল হউক চুল যখনই এলোমেলো থাকবে। চুলে জট পাকবেই।
আমাদের চুল সংক্রান্ত দৈনন্দিন সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল প্রতিদিন চুলে জট পাকানো। আর যদি আমাদের চুল খানিকটা লম্বাটে হয় তাহলে কথাই নেই। কারণ সেই জট ছাড়াতে গিয়ে যে ঠিক কত সময় লাগবে তা বলা দুষ্কর। এছড়াও মাঝেমাঝে চুলের জট ছাড়াতে গিয়ে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার যন্ত্রনা রয়েছেই। সাধারণত ড্রাই এবং ভঙ্গুর চুলে কিন্তু জট বাধতে দেখা যায়। তাই সবসময় আমাদের চুলকে হেলদি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কিভাবে চুলে জট বাধা রোধ করবেন সেটা নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের আর্টিকেলটি। তাহলে চলুন জেনে নেই চুলের জট বাধা রোধে ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস সম্পর্কে।
চুলে জট বাধার কারনগুলো আগে জেনে নিন
আচ্ছা, চুলে জট বাধার কারণগুলো জেনে নেওয়াটা জরুরি। চুলে জট বাধার কারণগুলো হচ্ছে-
যখন আপনার চুলে হাইড্রেশনের অভাব থাকবে তখন আপনার চুলের ঘর্ষণ আপনার চুলে জটের বাধার সৃষ্টি করে। হাইড্রেশনের অভাবে আপনার চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়। যার ফলাফল স্বরূপ চুল বেশ রুক্ষ এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়।
চুলে জট বাধার বেশ কয়েকটা কারনের মধ্যে একটি কারন হচ্ছে ভেজা চুলে ঘুমাতে যাওয়া। আমাদের মধ্যে অনেকেই ঠিক এমনটা করে থাকে। কিন্তু ভেজা চুল অনেক বেশী ভংগুর থাকে। তাই এটা সহজেই চুলে জট বাধিয়ে ফেলে। ফলে ভেঙে যায়।
চুলে জট বাধার অন্যতম কারন হচ্ছে নিয়মিত চুল না আঁচড়ানো। কারন, যদি প্রতিদিন চুল আঁচড়ানো হয় তাহলে চুলের গোড়ায় ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায়। তেমনি চুলে প্রচন্ড আকারে জট পাকানোর পাশাপাশি চুল ছিঁড়ে যাওয়া রোধ হয়।
অনেক লম্বা সময় ধরে যদি আপনি চুলের আগা ট্রিম না করেন তাহলে চুলে এক সময় আগা ফাটা দেখা যায় এবং চুল অনেক বেশী ফ্রিজি বা তেলতেলে ভাব হয়ে যায়। তাই ফ্রিজি হেয়ার বাধা প্রতিরোধ করতে চুলের আগা আপনাকে কাটতেই হবে।
অনেকের ক্ষেত্রে টানা হিট স্টাইলিং জিনিসপত্র ব্যবহারের করার ফলে আমাদের চুল ভেঙে যায় এবং চুল দূর্বল হয়ে যায়। হিট স্টাইলিং টুলস আমাদের চুলের কিউটিকেলস ড্যামেজ করে দেয়। যার ফলে চুল সহজেই জট পাকিয়ে যায়।
এতক্ষণ তাহলে জেনে নিলাম চুলের জট বাধার কারনসমূহ সম্পর্কে । এবার আলোচনায় আসি কিভাবে চুলে জট পাকানো বন্ধ করতে পারি সেই সম্পর্কে -
আমাদের আলসেমির কারনে হোক বা সময়ের অভাবে হোক অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে চুলে শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। মনে রাখবেন শুধুমাত্র শ্যাম্পুর ব্যবহারে চুলের জন্য যথেষ্ট না। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে চুল অনেক বেশী স্মুদ হয়ে যায়। কারণ কন্ডিশনার চুলকে সফট আর স্মুদ বানানোর ফলে চুলে সহজেই জট বাধতে দেখা যায় না। তাই অবশ্যই শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না।
যেকোনো ধরনের চিকন দাঁতের চিরুনি থেকে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা চুলের জন্য বেশ ভালো। কারন, মোটা দাঁতের চিরুনি গুলো চুল না ছিড়েই সহজেই চুলের জট খুলে দিতে দিতে সাহায্য করে। এছাড়া আজকাল চুলের জন্য অনেক হেয়ার ডিট্যাঙ্গেলার ব্রাশ কিনতে পাওয়া যায়। যেগুলা চুলের জট ছাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই ভালো ফলাফল দিয়ে থাকে।
আজকাল মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার সিরাম, স্প্রে, কন্ডিশনার পাওয়া যাচ্ছে যা জট পাকানো চুলের জন্য খুব ভালো কাজ করে। এইসব প্রোডাক্টস চুলকে সফট এবং স্মুথ করে করে তুলে। পাশাপাশি জট পাকানো রোধ করে। যদি চুলে জট বাধিয়ে ফেলেন তবে এই ধরনের প্রোডাক্ট একটু নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী চুলে লাগিয়ে ফেলুন। এরপর চিরুনি এর সাহায্যে নিয়মিত চুল ব্রাশ করুন। দেখবেন, খুব সহজেই চুলের জট খুলে এসেছে।
আপনি যতই ব্যস্ত হোন না কেন, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে হেয়ার মাস্ক লাগাবেন। কারন, হেয়ার মাস্ক চুলের গঠন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের ফলে চুল অনেকটা হাইড্রেট হয় এবং ড্রাই কিউটিকেলস গুলো অনেক বেশী স্মুদ হয়ে উঠে। চুলের যত্নে নিয়মিত টকদই, ডিম, মধু, আমন্ড অয়েল একত্রে মিক্স করে লাগাতে পারেন। প্রায় ৪০ মিনিট রেখে চুলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিবেন। এতে আপনার চুল হবে ঝলমলে ও সুন্দর!
আপনার চুলে পর্যাপ্ত পরিমানে পুষ্টি যোগাতে চাইলে নিয়মিত চুলে তেল ব্যবহার করাটা খুবই জরুরী বিষয়। কারন, স্বাস্থ্যকর চুলে সহজে জট বাধবে না। আপনি আপনার পছন্দের যে কোনো হেয়ার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে কয়েকটি তেল যেমন কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল, জোজোবা অয়েল, আমন্ড অয়েল ইত্যাদি মিক্স করেও লাগাতে পারেন।এতে ভালো ফলাফল পাবেন।
এই ধাপটি যেমন খুব সহজ ঠিক তেমনি বেশ কার্যকর। প্রতিদিন গোসলের শেষে চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এতে করে আপনার চুলের কিউটিকেলসগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুল ভাঙা রোধ হবে। কখনোই চুলে গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এতে চুল রুষ্ক খুষ্ক হয়ে উঠে।
প্রায় স্টাইল করতে গিয়ে আমরা তো চুলে অহরহ হিট দিয়ে থাকি আমাদের চুলে ব্যবহার করি চুলে। এতে আমাদের চুল বেশ ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। মনে রাখবেন যখনই হিট স্টাইলিং টুলস ব্যবহার করবেন অবশ্যই চুলে হিট প্রোটেকশন স্প্রে লাগিয়ে নিবেন। এছাড়া আপনি চাইলে অল্প করে অ্যালোভেরা জেল বা আর্গান অয়েলও পুরো চুলে লাগাতে পারেন।
অনেকের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে, গোসলের পর তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুলগুলোকে প্রচুর ঘষাঘষি করে থাকেন। গ্রামবাংলায়ব অনেকের ক্ষেত্রে দেখেছি ভেজা চুলে তোয়ালে দিয়ে বারি দিয়ে চুল মুছতে! এতে চুলের যে কত পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা কি আপনারা জানেন? এভাবে চুলে শুকানোর ফলে চুল ড্যামেজ হয়ে যায় এবং চুলের আগা মারাত্নক ভাবে ফেটে যায়। তাই ভেজা চুল মাইক্রোফাইবার টাওয়েল দিয়ে মুছে নিতে হবে। যদি হাতের কাছে মাইক্রোফাইবার টাওয়েল না থাকে তবে পুরোনো সফট টিশার্টও ব্যবহার করতে পারেন। ধীরে ধীরে হালকা হাতে চুলের এক্সট্রা পানিটুকু শুষে নিতে হবে এবং চুল শুকানোর ক্ষেত্রে এয়ার ড্রাই করতে হবে।
ঘুমানোর আগে আপনার চুল অবশ্যই সফট কোন হেয়ার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে নিবেন। আর মাথার বালিশের কভার ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করলে আপনার চুল বেশ সুস্থ থাকে।
এলকোহল আমাদের চুলকে বেশ ড্রাই বানিয়ে দেয় এবং চুলের কিউটিকেলগুলোকে বেশ নষ্ট করে দেয়। তাই যে কোনো হেয়ার প্রোডাক্টস কেনার আগে অবশ্যই সালফেটস এবং এলকোহলমুক্ত প্রোডাক্ট বাছাই করে নিতে হবে।
আশা করি চুলের জট বাধা রোধে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস আপনারা মেনে চলবেন। টিপসসমূহ আপনার চুলকে জট বাধা রোধে প্রতিরোধ করবে। অথেনটিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
ওয়েবসাইটে লিংকঃ
সুস্থ থাকুন,নিরাপদে থাকুন।
হেয়ার কেয়ার রুটিন সম্পর্কে জানতে হলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার কেয়ার রুটিন সম্পর্কে জানতে হলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার কেয়ার রুটিন সম্পর্কে জানতে হলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার কেয়ার রুটিন সম্পর্কে জানতে হলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার কেয়ার রুটিন সম্পর্কে জানতে হলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার কেয়ার রুটিন সম্পর্কে জানতে হলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার কেয়ার রুটিন সম্পর্কে জানতে হলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার স্ক্যাল্প মজবুত করার সকল ধরণের ট্রিপস এবং ট্রিক্স কিনতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার স্ক্যাল্প মজবুত করার সকল ধরণের ট্রিপস এবং ট্রিক্স কিনতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার স্ক্যাল্প মজবুত করার সকল ধরণের ট্রিপস এবং ট্রিক্স কিনতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার স্ক্যাল্প মজবুত করার সকল ধরণের ট্রিপস এবং ট্রিক্স কিনতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার স্ক্যাল্প মজবুত করার সকল ধরণের ট্রিপস এবং ট্রিক্স কিনতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার স্ক্যাল্প মজবুত করার সকল ধরণের ট্রিপস এবং ট্রিক্স কিনতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
হেয়ার স্ক্যাল্প মজবুত করার সকল ধরণের ট্রিপস এবং ট্রিক্স কিনতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
আমাদের ত্বক এবং চুলের যত্নে বেশ কার্যকর একটি সমাধান হল রাজকন্যা মর্নিঙ্গা প্যাক।বিস্তারিত জানতে হলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।