আমাদের অনেকের ত্বকে বিদ্যমান কঠিন একটি সমস্যার নাম হল মেসতা।অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে,ট্রিটমেন্ট নেয়ার পর হয়তো কমছে কিন্তু ট্রিটমেন্ট বন্ধ করলেই আবার আগের মতন অবস্থা হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকরই মেসতার (melasma) সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের কিছু বিশেষ অংশ যেমন কপালে, গালে বা নাকের উপর নরমাল স্কিনটোনের থেকে একটু গাঢ় ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়, এটাকেই মেসতা বা মেলাসমা বলা হয়। বেশ ছোটকাল থেকেই দেখা আসছি আমার মা চাচী অনেকেরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই মেসতা জনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আপনি যদি মেসতা দূর করতে চান তাহলে কিন্তু একটি প্রোপার স্কিন কেয়ার রুটিন অনুসরণ করা দরকার। কিন্তু মেসতা কেন হয় আপনি জানেন কি? বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলে।
মেলাসমা আপনার স্কিনের পিগমেন্টেশনের গভীরতা ও ধরনের উপর নির্ভর করে ভাগ করা হয়েছে তিনভাগে।
এপিডার্মাল মেলাসমা মূলত একটু গাঁড় বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে। সেই সাথে বর্ডার একটু ওয়েল ডিফাইন্ড হয় সাথে স্কিনে একটু কালচে ভাব থাকে। অন্যদিকে এর ট্রিটমেন্ট করলে ফলাফল পাওয়া যায় তাড়াতাড়ি।
ডার্মাল মেলাসমা মূলত বেশ হালকা বাদামী বা নীলচে বর্ণের হয়ে থাকে।এটি সারতে বেশ সময় লাগে ব।তবে সারলেও পুরোপুরি রিমুভ হয় না!
মিশ্র মেলাসমা, যা উপরোক্ত দুটির মধ্যে সব থেকে সাধারণ, নীল এবং বাদামী বর্ণের প্যাচ ভিজিবল হয়ে থাকে। স্কিনে কালচে এবং একটি মিশ্র প্যাটার্ন দেখায়। এর ট্রিটমেন্ট করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেলাসমাতে আক্রান্তদের কাছ থেকে অনেক সময় জানা যায় যে,তাদের পরিবারের অন্য কারোরও মেসতার মত সমস্যা রয়েছে। বংশগতভাবেও মেসতা আমাদের ত্বকে হয়ে থাকে।
সূর্যের ইউভি রে আমাদের স্কিন বেশ ড্যামেজ করে থাকে। বাহিরে বের হয়ে অনেক সময় আলোতে আসলে আমাদের শরীরে বেশ মেলানিন প্রডিউস হয়। এই মেলানিন আমাদের স্কিনে অনেকটা ছাতার মত কাজ করে থাকে। যা মূলত আমাদের ত্বককে সান ড্যামেজেত হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের বডি থেকে মেলানিন সেল উৎপন্ন করে থাকে। কিন্তু মেলানিন উৎপন্ন হবার সাথে সাথে আমাদের মুখে ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায়। সেই দাগকে মেলাসমা বা মেসতা বলা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত হিটের মধ্যে থাকলেও কিন্তু আমাদের ত্বকে মেসতা হয়ে থাকে। যেমন আগুনের হিট। রান্নাঘরে নারীদের অনেক বেশি কাজ করা হয় এবং ধীরে ধীরে পরবর্তীতে তার স্কিনে মেলাসমা দেখা দেয়।
নানা ধরনের হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর কারণে মেসতা নারী পুরুষ সবার হতে পারে। গবেষনায় দেখা গেছে, তুলনামূলক পুরুষের তুলনায় ৯০% নারীদের মেসতা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত কনট্রাসেপটিক পিল বা প্রেগনেন্সির সময় বা পরে হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে ত্বকে মেসতা দেখা দেয়। গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেশ বেড়ে যায়। তাই মেলাসমার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে থাকে। তাই প্রেগনেন্সির সময় অনেক মহিলাদের মেলাসমা বা মেসতা দেখা দেয়। আবার থাইরয়েডের প্রবলেম থাকলেও অনেকের মেসতা হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্কিন কেয়ারের সব কিছু মেনে চলার পরও ত্বকে মেসতা হচ্ছে। বেশি স্ট্রেস বা টেনশন নিলেও কিন্তু স্কিনে এইনবিরূপ প্রতিক্রিয়া পরে।
মেসতার দাগ থেকে রক্ষা পেতে একটু সময় নিজেকে দিতেই হবে। কারণ মেসতা কোন সাধারণ সমস্যা নয়। যাদের ত্বকে মেসতা আছে এবং তা থেজে নিজের ত্বককে রক্ষা করতে চান, তাদের জন্য কিছু টিপস গুরুত্বপূর্ণ টিপস শেয়ার করছি। তাহলে দেখে নিন মেসতার সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে করণীয় কী! যাদের ইতিমধ্যে মেসতা আছে তাদের ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ অনুযায়ী চলার পরও কিছু বিষয় অবশ্যই সবসময় মেনে চলতে হবে। যদি আপনার মেসতা দেখা না দেয় তাহলেও এই বেসিক স্টেপ গুলো আপনাকে মেনে চললে মেসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমনঃ বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন অনুসরণ করা, বাইরে যাওয়ার পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা, সপ্তাহে অন্তত একদিন বিশেষ যত্ন ইত্যাদি।
এতক্ষণে নিশ্চয় মেসতা কেন হয় সেটা জানলাম, এইবার তাহলে থেকে সকালে এবং রাতে দুই বেলা বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন আপনাকে মেনে চলতে হবে। তাই ভালোমত ক্লিনঞ্জার দিয়ে আপনার ফেইস ক্লিন করে নিতে হবে।সাথে টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন এর ব্যবহার এই প্রতিটি স্টেপই মেনে চলতে হবে। হ্যাঁ, এই বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন কিন্তু আপনাকে অনেক সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
প্রথমেই সানস্ক্রিনের ব্যবহার নিয়ে আলাদা করে কথা বলতে চাই, কারণ এই সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার কারণেই কিন্তু খুব কম বয়সেই আপনি মেসতা জনিত সমস্যা দেখা দিয়ে পারে। আপনি যদি সানস্ক্রিন ব্যবহার না করে বাইরে যান তাহলে সূর্যের ইউভি রে আমাদের স্কিনকে পুরোপুরি ড্যামেজ করে থাকে। আবার প্রচন্ড হিটের সামনে গেলেও কিন্তু আপনাকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তাই বলা হয়, দিনের বেলা সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আপনি যদি ঘরে থাকুন তখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আর সানস্ক্রিনের পাশাপাশি অবশ্যই একটি ছাতাও ব্যবহার করুন, আর যদি পারে সব সময় ফুল স্লিভের কাপড় পরিধান করুন। এতে আপনার স্কিন পুরোপুরি প্রটেক্টেড থাকতে পারবেন।
মেসতা বা মেলাসমার ট্রিটমেন্ট নেয়ার পাশাপাশি আপনি যদি ঘরোয়া যত্ন নিতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ফলাফল পাওয়া যাবে। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করুন।
উপটান আপনার ত্বকে সান ড্যামেজ রিপেয়ার করতে বেশ হেল্প করে, সেই সাথে আপনার মেসতা প্রিভেন্ট করবে এবং স্কিন টাইট করতেও অনেক সাহায্য করবে।
এক্ষেত্রে মূলতানি মাটিও মেসতার দাগ কমাতে বেশ সাহায্য করে। সেই সাথে রোদের পোড়া দাগ রিপেয়ার করতে ভূমিকা পালন করে।
তবে কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে দেখে নেয়া দরকার, কোন উপাদানটি আপনার প্রবলেমকে টার্গেট করে কাজ করে থাকে । মেসতা কেন হয় সেটা জানা যেমন খুব জরুরী, তেমনি ন্যাচারাল রেমেডিও কি কি আছে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার। কোন ন্যাচারাল উপাদানগুলো মেসতা কমাতে সাহায্য করবে এটা আমাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান। এখনই দেখে নিন তাহলে।
আরগান অয়েলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই ও ক্যারোটিনয়েডস যা একসাথে কাজ করে ধীরে ধীরে মেছতার দাগ দুর করে, সাথে সান ড্যামেজ রিপেয়ার করতে বেশ সাহায্য করে থাকে।
টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েলের হিলিং প্রোপার্টিজের কারণে এটি মেছতার দাগ কমায় সাথে ব্রণের সমস্যা দূর করতে বেশ সাহায্য করে। যাদের ত্বক বেশ সেন্সিটিভ, তারা টি ট্রি অয়েলের সাথে ২-৩ ফোঁটা অন্য কোন তেল যেমন অলিভ অয়েল বা জোজোবা অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন বেশ উপকার পাবেন।
লেবুতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের স্কিন ড্যামেজ কমায় এবং স্কিন লাইটেনিংয়ে ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ করে। তবে সরাসরি ফেইসে আপনি লেবু ব্যবহার করতে পারবেন না।
কারণ টক দইতে বিদ্যমান আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড। ল্যাকটিক অ্যাসিড মূলতবআমাদের স্কিনের ডেড সেলস ক্লিন করে স্কিনকে ব্রাইট করার পাশাপাশি মেসতার দাগ কমতে বেশ সাহায্য করবে।
চালের গুঁড়াতে রয়েছে প্যারা-অ্যামিনোবেঞ্জনিক অ্যাসিড (Para aminobenzonic acid), যা আমাদের ত্বকের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়াও আছে এলানটোন (allantoin) নামের উপাদান যআ রোদে পোড়া ত্বক রিপেয়ার করার পাশাপাশি মেসতার দাগ কমাতে বেশ সাহায্য করে।
মেসতা নিয়ে আমাদের একটি বেশ কমন প্রশ্ন রয়েছে, “মেসতা কি একেবারে গায়েব করা সম্ভব?” মেসতা বা মেলাসমা ঠিক করা সম্ভব হলেও এর পেছনে অবশ্যই কিছু কারণ বিদ্যমান থাকে। আপনার স্কিনে মূলয় মেসতা কত স্থানে বিস্তার করে আছে তা আগে আপনাকে বুঝে নিতে হবে। মূলত মেসতার রং দেখেই আপনি বুঝে নিয়ে পারেন।এছাড়াও মেসতা রিমুভালে ক্ষেত্রে সময় একটি বেশি দিতে হবে কেননা এটি একটি বেসজ দীর্ঘস্থায়ী ট্রিটমেন্ট। কারও তিন মাস বা তার চেয়ে বেশি ও লাগতে পারে। কিছু কিছু মানুষের জন্য তো বছরের পর বছর বা তাদের পুরো জীবন মেলাসমা থাকে এবং তা ট্রিটমেন্ট করলে তা দূর করতে পারে না। আবার অনেকেই এক্সট্রা যত্ন নেয়ার ফল খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেম। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুব অল্প সময়ের জন্য মেলাসমা হতে পারে, যেমন প্রেগনেন্সির সময়। আবার লাইফস্টাইল ও ফুড ইনটেকের উপর এর পাশাপাশি আপনার স্কিন কন্ডিশন এর জন্য নির্ভরশীল।
মেসতা রিমুভ করতে চাইলে অবশ্যই ডাক্তারের দেওয়া সাজেশন মেনে চলবেন। মেছতা দূর করতে সব অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইট
www.shampoobd.com
মজাদার চকলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
মজাদার চকলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
মজাদার চকলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।