বহু বছর ধরে নারীদের রূপচর্চায় এখন পর্যন্ত ব্যবহার হয়ে আসছে একটি জনপ্রিয় উপাদান। বলতে পারেন? কিসের কথা বলছি? জি হ্যাঁ, ঠিকই ভেবেছেন! আমি রুপচর্চায় ব্যবহৃত অন্যতম একটি উপাদান উপটানের কথা বলছি। যুগ যুগ ধরে ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী রূপ সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে উপটান। নিয়মিত উপটান ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে একদম দাগমুক্ত, কোমল এবং বেশ উজ্জ্বল। বহু বছর আগে বিয়ের কনে অথবা বিভিন্ন উৎসবে নারীরা রুপচর্চার জন্য উপটান ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন ত্বকের যত্নে আপনি ঘরে বসেই যেকোনো সময় উপটানের তৈরি ফেইস নানান ফেসপ্যাক ব্যবহার করে ত্বককে করে তুলতে পারবেন আরও উজ্জ্বল, সুন্দর ও বেশ ঝলমলে। তাই গ্লোয়িং ত্বকের জন্য উপটানের ফেইসপ্যাক ব্যবহার করা অপরিহার্য। চলুন উপটান দিয়ে তৈরি ৩টি চমৎকার ফেইসপ্যাক সম্পর্কে জেনে নেই আজকের আর্টিকেলে।!
গ্লোয়িং ত্বকের পেতে হলে আমার পছন্দের উপটান হল প্রাকৃতিক উপাদান। যেমনঃযেমনঃ হলুদ, চন্দন, নিম, বেসন, মুলতানি মাটি, কমলার খোসা গুঁড়ো ইত্যাদির মিশ্রণে ব্যবহার করে এই প্রাকৃতিক রূপ সামগ্রীটি তৈরি করা হয়। কিন্তু রোজ রোজ এতোকিছু একসাথে মিশিয়ে উপটান বানানোর সময় বা ধৈর্য বা সময় সবার থাকে না। তাই এক্ষেত্রে আপনার পছন্দ হতে পারে “রাজকন্যা গ্লোয়িং ফেইস উপটান”। এটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এমন একটি উপটান যা আপবার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দারুন কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
রাজকন্যা গ্লোয়িং ফেইস উপটান
Rajkonna glowing face uptan
মূলত রাজকন্যা গ্লোয়িং ফেইস উপটানে ৬টি কার্যকরী উপাদান আছে। যার একত্রে সংমিশ্রণফেইস উপটানটিকে করে তোলে বেশ অনন্য। এই ম্যাজিক্যাল ফেইস প্যাক ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বককে উজ্জলতা দেয়ার পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজডও করতে বেশ ভূমিকা পালন করবে। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত -
এই উপটানটি মূল ১০০% প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি। বেশ অর্গানিক উপায়ে তৈরি উপটানট যে কোন ধরণের স্কিনে স্যুট করবে।
রাজকন্যা গ্লোয়িং ফেইস উপটানটিতে বিদ্যমান আছে,
উপকারিতা
রাজকন্যা গ্লোয়িং ফেইস উপটানের আছে অনেক ধরণের গুণাবলি। এর উপকারিতা গুলো হচ্ছে-
রাজকন্যা গ্লোয়িং ফেস উপটান এ রয়েছে ছয়টি উপাদানের সংমিশ্রণ যা আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক একটি আভা এনে দিয়ে আপনার ত্বককে পুনরজ্জীবিত করতে সহায়তা করবে।
হলুদ এবং চন্দন দুটি প্রাকৃতিক উপাদানে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং সুদিং প্রপার্টিজ যা যেকোনো প্রদাহ কমাতে বেশ সহায়তা করে। হলুদ থাকায় আমাদের স্কিনেব ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশ কমিয়ে আনে। যেহেতু হলুদ একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে বেশ পরিচিত ।
বেসন এবং চন্দন কাঠ এই উপটানের অন্যতম দুইটি সেরা উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যা সানট্যান বা রোদ পোড়াভাব দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে বেশ সহায়তা করে। এতে থাকা বেসন আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে পরিস্কার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
নিম, মুলতানি পাউডার এবং কমলা খোসা গুঁড়ো ডার্ক স্পট, ব্লেমিশ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের অবস্থার উন্নতি করতে বেশ ভূমিকা পালন করে।
রাজকন্যা গ্লোয়িং ফেইস উপটান ডেড স্কিন সেল দূর করতএ সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের ত্বকের মধ্যে বিদ্যমান ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস বেশ কমে আসে।
প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হচ্ছে উপটান। যেকোনো অনুষ্ঠানের পূর্বে ত্বককে প্রস্তুত করতে, ত্বককে ফ্লোলেস রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে উপটান।চলুন তাহলে জেনে নেই রাজকন্যা গ্লোয়িং উপটান দিয়ে বানানো কিছু কার্যকরি ফেইসপ্যাক।
উপটান দিয়ে তৈরি ফেইসপ্যাক
তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী ফেইসপ্যাক তৈরিতে আমাদের যা যা লাগবে –
ব্যবহারবিধি
প্রথমে পরিমাণমতো উপটান এবং টকদই এর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট রেখে সিয়্ব শুকিয়ে যাওয়ার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক তৈরি করতে যা যা লাগবে-
ব্যবহারবিধি
প্রথমে উপটান, মধু, দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
তবে আপনি যদি স্কিনকে মশ্চোরাইজড করতে চান তাহলে যা যা লাগবে
উপাদানসমূহ যেভাবে ব্যবহার করবেন-
সব উপাদান নিয়ে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট রেখে শুকিয়ে যাওয়ার পর তা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আপনি যদি এতোগুলো উপাদান মেশানোর ঝামেলায় যেতে চান না তারা এই রাজকন্যা ফেইস উপটান শুধু পানি দিয়ে মিশিয়েও লাগাতে পারেন আপনার স্কিনে। তাহলেও আপনারা স্কিনে বেশ ভালো একটি আউটপুট পাবেন।
আপনারা যারা ঘরে বসেই খুব সহজে হেলদি গ্লোয়িং একটা স্কিন পেতে চান তারা রাজকন্যা গ্লোয়িং ফেইস উপটান দিয়ে মাত্র ১০-১৫ মিনিটেই রেজাল্ট পেতে পারেন।
রাজকন্যা গ্লোয়িং ফেইস উপটান ব্যবহারে আপনার ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বককে করে তোলে ময়েশ্চারাইজড, এছাড়াও ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান করে দিবে। তাই; এই তিনটি প্যাকের মধ্যে থেকে আপনার স্কিনের ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্যাক বেছে নিন। যেকোনো একটি উপটান এর তৈরি ফেইসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করুন আপনার ত্বকে। সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ব্যবহার করতে পারবেন এই গ্লোয়িং ফেইস উপটান।
অথেনটিক স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টস কিনতে আপনারা চাইলে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট
www.shampoobd.com এ।
মজাদার চকলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
মজাদার চকলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
মজাদার চকলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।