বেশ কিছু সময়ে আগেও অনেকেই জানতেন না যে,শাওয়ার জেল এবং বডি ওয়াশ প্রায় একই জিনিস! শিরোনামটি পড়ে আপনি চিন্তায় হয়ে যান নি? তাহলে আজকের লেখাটি মূলত আপনাদের জন্যেই! স্কিন কেয়ারের জন্য আমরা কত কিছুই তো ব্যবহার করছি! কোন সমস্যার যেমন শেষ নেই, ঠিক তেমনি তার সল্যুশন মার্কেট প্রোডাক্ট এর কোন ধরণের কমতি নেই। তাই বলে বাজারের প্রচলিত কি সব প্রোডাক্ট আমাদের ব্যবহার করতে হবে? না কিন্তু! আমরা মূলত শুধু সে সকল প্রোডাক্টই ব্যবহার করবো যা আমার জন্যে মূলত প্রয়োজন। স্কিন কেয়ারের জন্য ব্যবহৃত সাবান, ময়েশ্চারাইজার, লোশন, ক্রিম, জেল এর পাশাপাশি খুব বেশি যে প্রোডাক্টটির নাম শোনা যায় , তাহলো, শাওয়ার জেল এবং বডি ওয়াশ।
আমাদের অনেকের স্কিন কেয়ারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আবার অনেকেই বুঝেই উঠতে পারছেন না এর প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতখানি। তাই আজকে আমরা আলোচনার শুরুতেই জানবো, শাওয়ার জেল এবং বডি ওয়াশ কী তা নিয়ে। এদের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য কী এবং পাশাপাশি জানবো, এর নানা রকম উপকারিতা নিয়েও।
শাওয়ার জেল মূলত একধরণের তরল সাবান বা পণ্য যার ঘনত্ব অনেকটাই জেলির মত আবার অনেক সময় থকথকেও হয়ে থাকে। এটি সাধারণত আমরা আমাদের শরীরেই ব্যবহার করে থাকি আমাদের স্কিনকে সহজে ক্লিন করার জন্য। শাওয়ার জেলগুলো মূলত ওয়াটার এবং ডিটারজেন্ট বেইসের একটি ইম্যালশন স্বরূপ হয়ে থাকে।এদের প্রচুর ফেনা হওয়ার পাশাপাশি এটি বেশ সুগন্ধযুক্ত হয়ে থাকে।
বডি ওয়াশও মূলত একধরণের লিকুইড সাবানের সমতুল্যে।যার অনেকটাই পাতলা টেক্সচার এর হয়ে থাকে। স্কিনকে মূলত ক্লিন করার পাশাপাশি এটি আমাদের স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখতেও বেশ সাহায্য করে। স্কিনে ড্রাইনেস এর বিদ্যমান প্রবলেম বা ক্লগড পোরস এর সমস্যার সল্যুশন হিসেবে বেশ কাজ করতে পারে বডি ওয়াশ।
শাওয়ার জেল এবং বডি ওয়াশ এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে খুবই সুক্ষ। যদিও দুটোর প্রধান কাজ প্রায় একই ধরণের। দুটোই আমাদের স্কিনকে বেশ ক্লিন করতে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু যে যে উপায়ে ক্লিন করে তাদের ধরণ একটি হতে অন্যটির ধরণ বেশ আলাদা। তাই চলুন এদের মধ্যের বিদ্যমান পার্থক্যগুলো কী কী তাই জেনে নেয়া যাক।
ছেলে, মেয়ে বা বেবী সকলেই বয়স ভেদে শাওয়ার জেল এবং বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, এর মধ্যে মূলত পার্থক্য দেখা যায় বিশেষ করে ইনগ্র্যাডিয়েন্ট এর মধ্যে।
প্রথমেই যে পার্থক্যটি আপনি দেখবেন, সেটি হল এদের বিদ্যমান টেক্সচার। তাছাড়া শাওয়ার জেল এর টেক্সচার বডি ওয়াশ এর তুলনায় অনেক বেশি ঘন এবং বেশ ফার্ম টেক্সচার। অনেকটা থকথকে জেলির মতন। অন্যদিকে বডি ওয়াশ হয়ে থাকে অনেকটা লিকুয়িড সাবানের মতন।
মূলত আমাদের ত্বককে ময়েশ্চারাইজড এবং হাইড্রেটেড রাখতে পারবে এমন অনেক উপাদান রয়েছে বডি ওয়াশে। যেমন, পেট্রোলিয়াম জেলি বা মিনারেল অয়েল জাতীয় উপাদানসমূহ।
বডি ওয়াশ এর তুলনায় শাওয়ার জেলে তুলনামূলক ভাবে বেশি সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা আমাদের সবার জন্য বেশ উপযোগী।
শাওয়ার জেল ব্যবহারে মূলত আমাদের বডি ওয়াশ এর তুলনায় অনেক লম্বা সময়ের জন্যে রিল্যাক্স ফিল করতে সাহায্য করে। এবং এটি বডি ওয়াশ এর চেয়ে অনেকে বেশি স্মুথিং।
আপনি রেগুলার ব্যবহারের জন্যে বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে পারবেন খুব সহজেই। তবে শাওয়ার জেল আপনি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করাটাই যথেষ্ট।
তবে আপনার জেনে রাখা ভালো যে,
যারা ড্রাই স্কিন বা শুষ্ক ত্বক এর অধিকারী তারা চেষ্টা করবেন খুব বেশি সুগন্ধযুক্ত শাওয়ার জেল না ব্যবহার করতে।
আপনার যদি নরমাল স্কিন বা সাধারণ ত্বক হয়ে থাকে তাহলে যেকোনো ধরণের শাওয়ার জেল ব্যবহার করতে পারেন একদম নিশ্চিন্তে।
অয়েলি স্কিন বা তৈলাক্ত ত্বক যাদের রয়েছে, তাদের জন্যে শাওয়ার জেল সর্বাধিক কার্যকরী হয়ে থাকে। কারণ শাওয়ার জেল আমাদের স্কিনের মধ্যে বিদ্যমান অতিরিক্ত তেল খুব সহজেই ক্লিন করে ফেলে এবং সেই সাথে একটি রিফ্রেশিং ফিল দেয়।
শাওয়ার জেল এ থাকা এক্সফোলিয়েটিং উপাদান আমাদের স্কিনে থাকা বিদ্যমাম ডেড সেলস বা মৃত কোষ প্রোপারলি ক্লিন করতে বেশ সাহায্য করে।
হাতের কাছে বাবল বাথ প্রোডাক্ট না থাকলেও এর পরিপূরক হিসেবে আমরা শাওয়ার জেল ব্যবহার করতে পারি। যা আপনাকে খুবই সুদিং এবং আরামদায়ক একটি ফিল এনে দিতে সাহায্য করবে।
সুগন্ধির পাশাপাশি শাওয়ার জেলে পাওয়া যায় আমাদের স্কিনের জন্যে প্রয়োজনীয় অয়েল এবং ভিটামিন। যেগুলো আমরা নরমাল কোন বার সোপ-এ একসাথে সাধারণত পেয়ে থাকি না।
শাওয়ার জেল একবার নিলে মূলত একবারই ব্যবহার করে ফেলা হয়। এটি বোতলে সুন্দর ভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সংরক্ষণ করা হয় বলে, হাইজিন মেইনটেইন করে নিশ্চিন্তে এটিনব্যবহার করা যায়।
যেহেতু শাওয়ার জেলে নানা রকম অয়েল এবং সুগন্ধি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়, তাই গোসলের পর আপনি আপনার স্কিনে খুবই আরামদায়ক সুদিং এবং রিফ্রেশিং একটি ফিল পাবেন।
বডি ওয়াশ আমাদের স্কিনকে মূলত একদম ভিতর থেকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি আমাদের ত্বকের ভিতরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বেশ সাহায্য করে। এছাড়াও স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড এবং হেলদি রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বডি ওয়াশের সব চেয়ে বড় সুবিধা হল, সাবান বা সোপ বারের তুলনায় এতে ক্ষারের মাত্রা বেশ কম থাকে। তাই এটি কোন ধরণের স্কিনের জন্যে একদমই ক্ষতিকারক নয়।
বডি ওয়াশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল যে এটি সংরক্ষণে করতে আমাদের আলাদা কোন ধরণের ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়না। এছাড়াও, এটি যখন তখন ব্যবহার করা যায়। এমনকি বাইরে কোথাও গেলে সহজেই সাথে আমাদের সাথে ক্যারি করতে পারি।
আমাদের মধ্যে অনেকের স্কিন খুব অল্পতেই ড্রাই বা বেশ শুষ্ক হয়ে যায়। যেহেতু, বডি ওয়াশ আমাদের স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড এবং হেলদি রাখতে সাহায্য করে থাজে তাই যাদের ড্রাই স্কিন রয়েছে তাদের জন্যে বডি ওয়াশ হতে পারে একটি পার্ফেক্ট চয়েজ।
বডি ওয়াশ যেহেতু সাবান কিংবা সোপ বারেরই একটি লিকুইড ফর্ম। তাই, গোসলে যেমন আমরা প্রতিদিন সাবান ব্যবহার করতে পারি তেমনি আপনি চাইলে বডি ওয়াশেও প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
যারা শাওয়ার জেল এবং বডি ওয়াশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একদমই নতুন, তারা অনেক সময় বেশ চিন্তিত হয়ে যান কীভাবে এগুলো ব্যবহার করবেন তা নিয়ে। অথচ, আপনি জানেন না যে এইগুলো ব্যবহারের নিয়ম একদমই সহজ। প্রতিদিন গোসলে যেমন আমরা সাবান বা সোপ বার ব্যবহার করি তেমনি শাওয়ার জেল এবং বডি ওয়াশ ব্যবহারের নিয়মও খুবই সহজ চলুন জেনে নেয়া যাক ধাপগুলো সম্পর্কে ।
প্রথমেই আপনি গোসলের জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি নিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন যে পানি যেন খুব বেশি পরিমাণে গরম না হয়। খুব বেশি গরম পানি ব্যবহারে আমাদের স্কিন বেশ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এবার আপনার চুল পরিষ্কার করা দিয়ে শুরু কররে হবে। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার যা যা প্রয়োজন তা দিয়ে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে এবার শরীর ক্লিন করার জন্যে শাওয়ার জেল অথবা বডি ওয়াশ সাথে নিয়ে নিন।
দুই থেকে তিন চা চামচ শাওয়ার জেল অথবা বডি ওয়াশ আপনার ব্যবহৃত স্পঞ্জ, লোফাহ বা পরিষ্কার একটি কাপড়ে ঢেলে নিতে হবে। তারপর ভালোভাবে ফেনা তৈরি করুন।
এবার সার্কুলার মোশনে আপনার হাত, গলা থেকে শুরু করে একে একে পুরো শরীর পরিষ্কার করে নিন।
শেষ স্টেপে আপনি হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে পুরো শরীর ভালোভাবে ধুয়ে ক্লিন করে নিতে হবে।
তবে যারা মূলত বাথটবে গোসলের জন্যে শাওয়ার জেল অথবা বডি ওয়াশ ব্যবহার করবেন, তারা বাথটবটি পানি দিয়ে পূর্ণ করে নিতে হবে।তাতে ৩ থেকে ৪ চামচ শাওয়ার জেল অথবা বডি ওয়াশ দিয়ে ফেনা করে নিতে হবে। অথবা আপনি চাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী এর চেয়ে একটু বেশি পরিমাণেও ব্যবহার করতে পারেন।
দুটোর কাজই আমাদের স্কিনকে পরিপূর্ণরুপে ক্লিন করা। আজকের লিখাটি মূলত তাদের জন্যই যাতে শাওয়ার জেল অথবা বডি ওয়াশ কেনার আগে নিজেরাই বুঝে নিতে পারেন কোনটি কোনটি আপনার ত্বকের জন্য প্রয়োজন! আশা করছি এ লেখাটি পরে শাওয়ার জেল এবং বডি ওয়াশ নিয়ে আপনাদের কিছুটা হলেও কনফিউশন দূর করতে পারব। তবে যেটাই ব্যবহার করুন না কেন,শাওয়ার শেষে ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করতে ভুলবেন না কিন্তু
আপনার স্কিনের জন্য পরিপূর্ণ এবং সেই সাথে সঠিক শাওয়ার জেল বা বডি ওয়াশ পেয়ে যাবেন আমাদের ওয়েবসাইট এ।
মজাদার চকলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
মজাদার চকলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
মজাদার চকলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
শীতের উপযোগী একটি ফেইসওয়াশ সম্পর্কে জানতে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেল।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
কোরিয়ান ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় লোশান সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ে নিন আজকের আর্টিকেলটি।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আপনার স্কিনের জন্য কোন ধরণের এসেন্স উপযুক্ত তা জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।